চিনে রাখুন ঢাবির নয়া জঙ্গিবাদী দল
স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি নামক এই নতুন এই দলটি ক্রমাগত উগ্রবাদী, আগ্রাসী এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েই চলেছে। কিছু নমুনা দেখা যাক।
- সংখ্যালঘু বিদ্বেষ।
- ধর্মীয় কটূক্তি করার অভিযোগে ফাঁসির দাবি।
- হিন্দু বিদ্বেষ এবং সাম্প্রদায়িকতা।
- সমকামী এবং ট্রান্সজেন্ডার বিদ্বেষ এবং ঘৃণা।
- নারী বিদ্বেষ, বাক স্বাধীনতা বিরোধিতা এবং হয়রানি করা।
- আদিবাসী বিদ্বেষ এবং গুন্ডামি। (ভিডিও)
- ধর্ম এবং ধর্মহীনতা বিদ্বেষ।
- আবারও আদিবাসী বিদ্বেষ, গুন্ডামি আর সম্ভাব্য সংঘাত।
উগ্রবাদী আচরণ আর সন্ত্রাস করে তারা আদিবাসী লেখা গ্রাফিতি নামিয়েছে পাঠ্যপুস্তক থেকে। আদিবাসীরা প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়েছিলো আগে, তারপর একই সময় একই জায়গায় সংঘাতের উদ্দেশ্য নিয়ে তারাও দিয়েছে। এই হচ্ছে বর্তমান অবস্থা এবং মনে হচ্ছে তাদের বাড়াবাড়ি এবং সন্ত্রাস আরো চলবেই। অবশ্য যাদের নামের সঠিক উচ্চারণটাই তারা লিখতে পারে না, তাদের কাছ থেকে আর কী আশা করা যায়। আজ ১৫ জানুয়ারি আদিবাসীদের ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে নাশকতা করতে চাওয়ার স্পষ্ট উস্কানি এবং উদ্দেশ্য দেখুন।
https://www.facebook.com/share/p/14WQLSkZvP/
মেরুদণ্ডহীন সরকার কিছুই করছে না, বরং কি সহজেই এদের দাবি মেনে নিল! দুমুখো সাপ সমন্বয়কদের নিয়ে না হয় কিছু নাই বলি। নামের আগে বৈষম্যবিরোধী লাগায় রাখছে, কিন্তু আদিবাসী নিয়ে এমন একটা ঘটনা হবার পরে বিন্দুমাত্র প্রতিবাদও করে নাই। কেন ভাই, আদিবাসীরা কি আমাদের সবার সাথেই স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করে নাই? অথচ পাশের বাসার মুরগীও যদি লীগ চুরি করে তা নিয়ে এরা সারাদিন লাফাইবো। নতুন চেতনা ব্যবসা আর কিছুই না। আগে লীগ করেছে ৭১ এবং মুজিব নিয়ে, এখন এরা করছে ২৪ নিয়ে। রাজনীতিবিদদের তো মুখে অন্তত মধু ছিল, আর অন্তরে বিষ। এদের তো সেটাও নাই।
সেসব না হয় বাদই দিলাম। নতুন কিছু না। আমার প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং বাকি শিক্ষার্থীরা কী করছে? একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হয়ে, তাদের ব্যানারে সংঘটন খুলে কিছু শিক্ষার্থী নামের কলঙ্ক এসব জঙ্গিবাদী কাজ করে বেড়াচ্ছে। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোন দায়িত্ব নেই এখানে? নৈতিক কর্তব্য নেই? কীভাবে করছে তারা এমন? কেন তাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে না? পৃথিবীতে আর কোন বিশ্ববিদ্যালয় কি আছে যেখানে তাদের শিক্ষার্থীরা প্রকাশ্য দিবালোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে জঙ্গিবাদ করে বেড়াচ্ছে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম 'স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি'। আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইনশাআল্লাহ!
যারা ঢাবিতে পড়ছেন একটু ভাবুন। আচ্ছা ঢাবি যদি জঙ্গি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচয় পেয়ে যায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, তাহলে কেমন লাগবে? একটু চিন্তা করুন সেরকম দুর্নাম অর্জন করলে আপনাদের পরিণতি কী হবে। ভারত তো বসেই আছে তিল কে তাল করতে। আর এখানে তো তিলও না, ছোটখাটো একটা তালই তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
নিজের ক্ষতি, প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি, সংখ্যালঘুদের ক্ষতি, সর্বোপরি দেশের ও জাতির ক্ষতি। এভাবে আর কত?
আপডেটঃ
যেটা আশঙ্কা করেছিলাম তাই হলো - 'সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা'র ওপর 'স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি'র হামলার অভিযোগ।
সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্রজনতার সংগঠক অলিক মৃ টিবিএসকে বলেন, 'আমাদের আদিবাসী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। হামলায় আমাদের ১১ জন আহত, দুইজনের অবস্থা গুরুতর।
নিজেরা হামলা করে জঙ্গিগুলো উল্টো গুজব ছড়াচ্ছে যে তারা হামলার স্বীকার। নকল যমুনা টিভির লিঙ্ক দিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।